Skip to content

ঘুড়ে আসুন সাজেক | বিস্তারিত তথ্য

by saif71 | Last Updated:
August 11, 2017 | 05:51 AM
ঘুড়ে আসুন সাজেক | বিস্তারিত তথ্য

পাহাড়ের বুকে ভেসে বেড়ানো মেঘ যারা ছুতে চান তাদের জন্য সাজেক এক স্বর্গ রাজ্য । রাঙামাটির একেবারে উত্তরে সাজেক বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ইউনিয়ন। কিন্তু যেতে হয় খাগড়াছড়ি হয়ে। সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যানে সাজেক এর সৌন্দর্যের ব্যাপারে মোটামুটি সবারই ধারনা আছে মনে করি। আপাতত শুধু ট্রিপ এর বিস্তারিত আলোচনা করি।

কিভাবে যাবেন সাজেকঃ

কি কি আছে ?

সাজেক আর্মি ক্যাম্পের কাছাকাছি পাহাড়ী আদিবাসীদের দু’টি পাড়া আছে… রুই লুই এবং কংলাক পাড়া। অসাধারন সুন্দর দুইটি জায়গা। এই পাড়াটির উচ্চতা ১৭০০ ফুটের একটু বেশি।

রুইলুই হতে আরও প্রায় ৩ কিঃমিঃ কাঁচা রাস্তা পেড়িয়ে কংলাক পাহাড় (উচ্চতা ১৮০০ ফুটেরও বেশি) । এখানে “জলবুক কটেজ” পর্যন্ত চান্দের গাড়ী যায়। বাকিটা খাড়া পাহাড় বেয়ে অনেকখানি উঠতে হবে হেঁটে। তবে বৃষ্টি থাকলে রুইলুই থেকে কংলাক পর্যন্ত পুরোটা হেটেই যেতে হবে।

খুব ভোড়ে উঠে অবশ্যই যাওয়া উচিৎ কংলাক পাড়ায়। পাহাড় থেকে মেঘের মাঝে দাড়িয়ে সুর্যদোয় না দেখলে বিশ্বাস করুন জীবনটাই বৃথা।

ট্রাকিং এর অভ্যাস / ইচ্ছা থাকলে সাজেক থেকে ফেরার পথে ঘুরে আসতে পারেন “হাজাছড়া ঝর্না”

খাগড়াছড়ি শহর থেকে ১০ কিমি এর মত দূরে আলুটিলা গুহা । বেশ ভালো লাগবে।

কোথায় থাকবেন:

বুকিংঃ +8801842380234 (বিজু)
https://www.facebook.com/Rock-Paradise-178674612509846

খরচঃ

আমরা ৬ জনের একটা গ্রুপ গিয়েছিলাম। ২ দিন এক রাত ছিলাম। আমাদের মাথা পিছু খরচ এর হিসেবটা দেয়া হল। এতে আপনাদের সম্ভাব্য খরচের ধারনা পাবেনঃ

১. ঢাকা — খাগড়াছড়ি (শান্তি পরিবহন নন এসি): ৫২০ + ৫২০ টাকা= ১০৪০ টাকা
২. খাওয়া দাওয়া পুরো ট্যুর এরঃ ৮০০ টাকা
৩. চান্দের গাড়িঃ ১১৬৬ টাকা (মোট ৭০০০ টাকা / ৬ জন)
৪. আদিবাসিদের বাড়িতে থাকা ঃ ২৫০ টাকা
৫. অন্যান্যঃ ২৫০ টাকা
মোটঃ ৩৫০৬ টাকা।

গুরুত্বপূর্ন তথ্যসমুহঃ

১. সাজেকে বিদ্যুৎ নেই,সবকিছু সোলারে চলে,এমনকি ল্যাম্পপোস্টও! সাথে মোবাইল, ক্যামেরার জন্য পর্যাপ্ত পাওয়ার ব্যাকআপ নিয়ে যাবেন।
২. রবি ছাড়া আর কোন নেটওয়ার্ক নেই। মাঝে মাঝে জিপি আর টেলিটক একটু পেতে পারেন।
৩. শান্তি পরিবহণ

– দিঘীনালা কাউন্টার-০১৮৫৫৯৬৬১৪,০১৮১৩২৬৮৯১৯
– কলাবাগান কাউন্টার -০১১৯০৯৯৪০০৮,০৪৪৭৭৭০১১৯১
– কমলাপুর কাউন্টার -০১১৯১১৯৭২৯৭

৪. ক্যাম্পিং করা যায় তবে আর্মি অফিসারের অনুমতি সাপেক্ষে।
৫. নিরাপত্তার তেমন কোনো সমস্যা নেই। আর্মি, বিজিবি আর পুলিশের সম্মিলিত নিরাপত্তা ব্যবস্থা খুবই ভালো ।
৬. গ্রুপে গেলে মোটামুতি ২ দিন ১ রাত সব সহ ৩৫০০-৪৫০০ এর মধ্যেই কভার হবে।
৭. কমপক্ষে দুই-তিন ঘণ্টা আগে যেকোনো রেস্টুরেন্টে অর্ডার দিয়ে রাখতে হবে। কারণ, রেস্টুরেন্টগুলো অর্ডার না পেলে কোনো ধরনের খাবার বা নাশতা প্রস্তুত করবে না।

৮. সাজেক ভ্রমনে আগে অবশ্যই মাথায় রাখবেন মশার বিষয়টি।যেকোন পাহাড়ি এলাকা ভ্রমনকালেই এবিষয়ে একটু প্রতিষেধক ক্রীম বা অন্যকোন ওষুধ সাথে রাখবেন। আর ফাস্ট এইড বক্স রাখাতো অত্যন্ত জরুরি।

[বিঃ দ্রঃ কিছু ছবি সরাসরি আমার নিজের ক্যামেরায় তোলা না। কয়েকটি অন্য সোর্স থেকে নিয়েছি দেখানোর জন্য]

সবশেষে বলব আমাদের দেশটা আসলে অনেক সুন্দর, ঘুড়ে আসুন যখনই সময় পান। নাগরিক যান্ত্রিকতার ক্লান্তি অনেকটাই কেটে যাবে এই দেশটা ঘুড়লে।

About Author: 🎉 Salman Hossain Saif (internet username: Saif71).
Lead UX Engineer @ManagingLife LLC. Specialized in design systems, user flow, UX writing, and a certified accessibility specialist. Loves travel and creating meaningful content. Say hi @imsaif71

You may also like


🎉 Have a nice day!